মায়াবতী
মায়াবতী—একটি নাম নয়, যেন এক গভীর রহস্য। তার চোখের গভীরে লুকিয়ে থাকে সন্ধ্যার নিস্তব্ধতা, আর হাসিতে মিশে থাকে ভোরের প্রথম আলো। কেউ বলে সে ভালোবাসার এক অসমাপ্ত কবিতা, কেউ বলে সে কষ্টের এক নীরব সাক্ষী। মায়াবতী আসে, হৃদয়ে একরাশ আবেগ ছুঁয়ে দিয়ে হারিয়ে যায় শূন্যতার মাঝে। তবু তার স্মৃতি থেকে যায়—একটি মায়াবী সন্ধ্যার মতো, যে ফিরে আসে বারবার, নিঃশব্দে।
সে যেন এক মায়াবী সন্ধ্যা, যার অস্তিত্ব ছড়িয়ে থাকে বাতাসে, নদীর ঢেউয়ে, গোধূলির মলিন আলোয়। তার চোখের গভীরে লুকিয়ে আছে একান্ত নিরবতা, যেন সারা পৃথিবীর সকল গল্প সেখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ বলে, তার হাসিতে মিশে থাকে ভোরের প্রথম আলো, আবার কেউ বলে, সে কষ্টের এক নীরব সাক্ষী—যে নিঃশব্দে বয়ে বেড়ায় এক বিশাল হৃদয়ের অতল যন্ত্রণা।
মায়াবতী আসে হঠাৎ করেই, ঝড়ের মতো প্রবল হয়ে—কিন্তু রেখে যায় এক মৃদু শিহরণ, যা সহজে মুছে যায় না। তার প্রতিটি কথায় থাকে এক অলৌকিক আকর্ষণ, যা মানুষকে টেনে নেয় তার জগতে, যেখানে অনুভূতি শব্দ হয়ে ওঠে, আর নীরবতাই সবচেয়ে বড় ভাষা।
সে ভালোবাসতে জানে, কিন্তু তার ভালোবাসা দাবানলের মতো নয়—তা নদীর মতো শান্ত, ধীর, গভীর। তার স্পর্শের মধ্যে থাকে এক অদ্ভুত মায়া, যা একবার ছুঁয়ে গেলে আর ফিরে আসা সম্ভব নয়। তবুও, মায়াবতী নিজেই যেন হারিয়ে যাওয়া এক স্বপ্ন, যে ধরা দেয় ঠিক ততটুকু, যতটুকু প্রয়োজন; তারপর মিলিয়ে যায় শূন্যতার মাঝে।
তবে কি মায়াবতী শুধুই এক গল্প? নাকি সে এক বাস্তবতা, যা প্রতিটি হৃদয়ে লুকিয়ে থাকে? হয়তো সে এক অসমাপ্ত কবিতা, হয়তো এক অতৃপ্ত প্রেম, অথবা হয়তো কেবলই এক নাম—যা মানুষের মনে চিরকাল বেঁচে থাকে এক গভীর মায়ার পরশ হয়ে।