কবি পরিচিতিকবি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ১৯৮৪ সালের ২৫ শে, জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানাধীন দড়িগাঙ্গাটিয়া গ্রামে জন্ম। বাংলার আদি কবি চদ্রাবতি,বীব ঈশাখা, ছড়া সাহিত্যের কারিগর , সুকুমার বড়ুয়া ,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, সহ দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের চারন ভূমি সাহিত্য সংস্কৃতির অভয়ারণ্য ছড়া সাহিত্যের রাজধানী সেই কিশোরগঞ্জের সন্তান বহু গুনে গুণান্বিত কবি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। বর্তমানে ভালুকায় দক্ষিণ হবিরবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ হবিরবাড়ি গ্রামে কালু ফকিরের ভিটায় সপরিবারে বসবাস করছেন। সেথায় বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সভাপতি হিসেবে আছেন। তিনি বেশকিছু সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত, সময়ের আলোচিত বিচক্ষণ ও সচেতন লেখক, সাহিত্যের সকল শাখায় সমান বিচরণ করেন। ছড়া সাহিত্যে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই দেশি বিদেশি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তার অনেক লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। ধর্মীয় চেতনা ও প্রগাঢ় দেশ প্রেমে উদ্বেলিত একজন স্বাধীনচেতা কবি, আল কুরানের আমপারা সহ বেশ ক,টি সূরা কাব্যিক অনুবাদ করেছেন। দেশ, ধর্ম প্রকৃতি, কেটে খাওয়া মানুষ শ্রমিকদের কথা, সত্য সুন্দরের বিনির্মাণ তার লেখার বিষয়। তিনি গণমাধ্যম কর্মী।ও একজন সফল সাংগঠনিক ও সম্পাদক। ন্যাশনাল পরিমার গ্রুপে কর্মরত আছেন, ফুটওয়্যার ইউনিটে।এই সফল ছান্দসিক প্রতিভাবান কবি একজন সূক্ষ্ম ছন্দের কারিগর। তিনি সফল সম্পাদক ও সাংগঠনিক। লেখনি সাহিত্য সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। তার লেখা পাঠক সমাজে দারুণ প্রশংসা পেয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তি গোষ্ঠী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসঙ্গতি দুঃশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছন্দায়িত প্রতিবাদ করেন কিশোর তরুণ নবীনদের জন্য সহজ সরল নান্দনিক ভাষায় উপস্থাপন করেন তার লেখা, প্রকাশিত বই (ক) কুটুম পাখি,( খ) সুতোর টানে স্বপ্ন বুনে,(গ) বর্ণ দিয়ে ছড়া, (ঘ) ছন্দ লতা সহ বেশ কিছু সাড়া জাগানো পান্ডুলিপি বই আকারে প্রকাশের অপেক্ষায়। কবি মাত্র ষোল বছরে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার ঝিলিমিলি পাতার লেখা খেলায় প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন। ভাষা সৈনিক মোস্তফা এম এ মতিন সাহিত্য পুরস্কার, সৃষ্টি সাহিত্য পুরস্কার, জ্যেতি হক ছড়া পুরস্কার সহ অনেক সাহিত্য সন্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন। মুঠোফোন ০১৭২০০৭৯৬৮০Email jalaluddinkobi@gmail, fb,Mohammad jalal Uddinমোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এর এক গুচ্ছ ছড়া কবিতাকবিতা সুন্দরীমোহাম্মদ জালাল উদ্দিনপ্রেমের শিশিরে সিক্ত করছোলাজুক বধুঁর মতো,মনের বাগানে গোলাপ ফুটালেস্বপ্নের রঙ যতো।কবিতা তোমায় ভালোবাসি বলেরাতেও জেগেজি আমি,চুপচাপ একা গোপনেও করিকতইনা পাগলামি।সুগভীর প্রেম নেই প্রবলেমঅফুরান ভালোবাসা,কবিতার ঠোঁটে গোলাপ খুঁজেছিপ্রতিদিন যাওযা আসা।দুখে কিবা সুখে আমরা প্রেমিককবিতার সাথে আমি,বহুকাল আগে আমাদের প্রেমএখনও অনেক দামি।নতুন বছর নতুন বইমো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন_________________________নতুন বছর নতুন পড়া নতুন ক্লাসে ওঠা,বইগুলো তাই আগের চেয়ে একটু মোটাসোটা।ছোট্ট খুকি নেই কোনো ভয় সবগুলো বই পড়ে,এগিয়ে যাও আলোর পথে ভয়টাকে জয় করে।ভয়ভীতি সেই মনের ভেতর রাখবেনা একচুল,তুমিই হবে ভবিষ্যতের রঙিন গোলাপ ফুল।আব্বু যদি কাল থেকে তার না যায় অফিসটাতে,মা যদি তার কাজ না করে ওঠবে কি ভাত পাতে?যার যেটা কাজ নিয়মিত করতে হবে তাকে,কর্ম দিয়ে জীবন থেকে সড়াও আধাঁরটাকে।মনদিয়ে তাই পড়তে হবে থাকবেনা একরোখা,অধ্যাবসায় জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালবে অবুঝ খোকা।শিখতে হবে লিখতে হবে প্রতিদিনের পড়া,জ্ঞানের আলোয় জাগবে স্বদেশ হাসবে বসুন্ধরা।আলসেমিটা ছাড়তে হবে শিখতে হবে রোজ,তখন সবাই ভালোবেসে রাখবে তোমার খুঁজ।জড়িয়ে বুকে করবে আদর মামনি ও বাবা,তুমি হবে ছাত্র ভালো মারহাবা মারহাবা।(মাদরাসা দারুসসালাম আল ফাইজিয়া কে)নিবেদিত কবিতামোহাম্মদ জালাল উদ্দিনদারুস সালাম প্রিয় মাদরাসা
অতল জ্ঞানের কুপি,আসমানি কিতাব পড়েছি আমিওমাথার পরেছি টুপি।দারুস সালাম জীবন শুরুতেপ্রথম শিক্ষা পাঠ,আলোকিত হলো হৃদয় বাগানমনের সবুজ মাঠ।ইট পাথরের গাঁথুনি ছিলোনামাদ্রাসা ছিল টিনের,বুকভরা শুধু স্বপ্ন বুনেছিনিত্য নতুন দিনের।স্নেহ মমতায় মিলেমিশে থাকাআমরা জেগেছি প্রাতে,আড্ডা দিয়েছি নদীটার ধারেসহপাঠীদের সাথে।দারুস সালাম এখনো মনেরআয়নাতে রোজ ভাসে,আসমানী পাঠে বিজ বুনে বুকেকুরানের পাখিরা আসে।চোখের সামনে গ্রামবাসি দেখেআলেম ওলামা উচ্চ,দারুস সালাম আল-ফাইজিয়াজান্নতি ফুল গুচ্ছ।ঐতিহাসিক দারুস সালামঠিকানা অনেক দূরে,সেই জীবনের পরতে পরতেআলোয় জোনাকি উড়ে।সেই মাদ্রাসা মনের আকাশেনতুন সকাল ভোর,স্মৃতির মিনার প্রীতি হয়ে ভাসেহৃদয়ে ছিঁটায় নূর,দারুস সালাম প্রিয় মাদ্রাসাআধার করেছে দূর,আমার মনের শুভ্র খাতায়স্বপ্ন সমুদ্দুর।মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এর আঞ্চলিক ভাষায় ছড়া কবিতালাউমোহাম্মদ জালাল উদ্দিন(কিশোরগঞ্জ গঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায়)কিতা করাম সহালবেলাই পাইনা কামের বাও,
বাঁশের গুরিত লটকে আছে ভুত্তেমারা লাউ।নগদতুলা লাউডারে ভাই লাগে মনের মতন,সহাল-বিহাল করুইন বেডা লাউয়ের গাছের যতন।রান্দে লাউযের আগা- ডুগা লাউয়ের কঁচিপাতালাউয়ের ঝুলে ভাঙ্গে দিছে বাত্তি মাছের মাথা।লাউয়ের চানুন ফতুরি খাই সাদা লাউয়ের ফুল,রোজা রাহি মুত্তাকী অই ভাঙ্গি মনের ভুল।পান্নেলাউয়ের বাজার গরম কিন্নে দেহুইন বেডা,লাউয়ের চারা লাগাইন ভায়ু করুন্নাযে লেডা।ঢেঁহি(কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা)মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি নঅহন আছে ধানের মিশিনিহুদা ধানের টাইল,আগের দিনঅ ঘরঅ আচিনঢেঁহি চেহাইট গাইল।মেশিন ছাড়াই বান্তরে ধানকুটত চাল ও ডাল,অহন দেহি বেজাল বেশিলাগতাছে গুলমাল।বেহের আতই আছে নতুভুত্তেমারা ফুন,ফুনের ছুডে মাথাত্ ওডেহারামজাদা গুন।জার হরে বেতালা(কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা)মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি নগাল ফাডে পাও ফাডে মন নাই কামে,লেপ নাই ক্যাথা নাই অত জার নামে!ডায়া লাগে আড্ডিতে দুই ঠোডে কামড়ায়,জারে লোক মারা যায় ডায়া লাগে চামড়ায়।সুর্যের দেহা নাই আবুদুব কান্দে,উরিগুডা ভাজে বউ কলাপিডে রান্দে।কামে লাগে আতাফাতা কুম্বালা আইবাইন,হিদলের বত্তাদে মেরাপিডে খাইবাইন।ছন্দময় কুরআনসূরা ক্বদর(কাব্যিক অনুবাদ)মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনআয়াত সংখ্যা --( ১)হইতে (৫)নিশ্চই আমি কুরান শরীফনাজিল করেছি তাতে--অতি সন্মানি নিয়ামতে ভরাসেই ক্বদরের রাতে।আপনি জানেন? সু-প্রিয় রাসূলক্বদর রজনি কি সে?হাজার মাসের চেয়ে উত্তমবরক্বত মিশেমিশে।ফেরেশতার দল ফেরেশতা রুহ্বরক্বত নিয়ে আসে,মহান রবের আদেশ ক্রমেইসব মানুষের পাশে।ক্বদর রজনি শান্তিময় থাকেফজর অক্ত জাগে,অতি ফজিলত বহমান থাকেসূর্য ওঠার আগে।ভোরের গান
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনভোরের আলোয়ফুলেরা হাসেঅলি ছুটে আসে ভোর বাতাসেবিশুদ্ধতায় সুবাস ছড়ায়।ফুল পাখি লতাএতো সজিবতাজেগে ওঠে ভোরে কার ইশারায়।ঝুরুঝুরু কাঁপে মিহিন পাতাস্বপ্ন ছড়ানো মনের খাতাসুখের পালকি ভেসে বেড়ায়।ভোরের আযান,পাখিদের গানবিমুগ্ধতা মন বাগিছায়।অসীমের প্রেমেমন থাকে থেমেফুলগুলো হাসেনীলে পাখি ভাসেঅসীমের কলে সবকিছু চলেএতো মমতায়।ঈদের ছড়ামোহাম্মদ জালাল উদ্দিনঈদুল আজহা এসেছে আবারএকটি বছর ঘুরে,শুভেচ্ছা দোয়া সবার জন্যমনের ওঠোন জুড়ে।তোমরা তো জানো ধরার মানুষকতোটা হযেছে বন্য,বিশ্ব মুমিন এক হয়ে যাওফিলিস্তিনির জন্য।মনে যতো আছে শয়তানি ছালহিংসা বিভেদ ভুলে,ঈদের শিক্ষা বিশুদ্ধ হইমনের দুয়ার খুলে,।জেফতমোহাম্মদ জালাল উদ্দিন(কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায়)বুবুল্লগে মেমান আইছে আইছে আবুদাইন,গাদলা গেছে আপনেরাতে কুম্বালা আইবাইন?জেফত দিলেও আইন্ন্যা কেরে দেহিনে আর ছায়া,বেড়ানি ত ভুল্লে গেছুইন ভুল্লে গেছুইন মায়া।বড়হা ঈদের জেফত অহন করুইন্না যে মিস,রাগগোসা ও হিংসামি জিদ সব করি ডিসমিস।সময়ের ছড়ামো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি নরাজপথে সেই রক্তের স্রোতেবিজয়ের ঢেউ ওঠেআবু সাঈদের জীবনের দামেস্বাধীনতা ফুল ফোটে।মুগ্ধকে দেখে বিমুগ্ধ জাতিছাত্র জনতার লাশে,ইতিহাস হয়ে আবার নতুনস্বাধীনতা সুখ আসে।বাংলার মাটি বীরদের ঘাঁটিঈমানী শক্তি ভরা,সকলেই চাই শান্তি সুখেরনতুন বসুন্ধরা।যে সকল প্রাণ ঝরে গেলো শেষেছাত্র শিশু ও নারী,আল্লাহ মালিক লিখে দাও তুমিজান্নাতি ঘর বাড়ি।পালিয়ে গেছেন দিল্লিমো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি নমুগ্ধ , সাঈদ, ছাত্র শিশুরাতপ্ত বুলেট বুকে,বারুদ মাখানো আগুন দিয়েছেস্বৈরাচারীর মুখে।হাতের মুঠোয় বাঁশের লাঠিতেপ্রহরী রয়েছে কাড়া,স্বাধীনতা ফের রাখবে ধরিয়াজাগ্রত মন পাড়াদেখবেনা আর আয়নাবাজিরস্বৈরাচারের ঘর,স্বাধীনতা আসে রক্তের স্রোতেজাগ্রত অন্তর।বেড়িয়ে আসছে রাঘব বোয়ালগভীর থলের বিল্লি,স্বৈরশাসক ঐরাবতিরাপালিয়ে গেছেন দিল্লি।On Mon, Aug 26, 2024, 9:15 PM Jalal Uddin <jalaluddinkobi@gmail.com> wrote:কবি পরিচিতিকবি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ১৯৮৪ সালের ২৫ শে, জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানাধীন দড়িগাঙ্গাটিয়া গ্রামে জন্ম। বাংলার আদি কবি চদ্রাবতি,বীব ঈশাখা, ছড়া সাহিত্যের কারিগর , সুকুমার বড়ুয়া ,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, সহ দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের চারন ভূমি সাহিত্য সংস্কৃতির অভয়ারণ্য ছড়া সাহিত্যের রাজধানী সেই কিশোরগঞ্জের সন্তান বহু গুনে গুণান্বিত কবি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। বর্তমানে ভালুকায় দক্ষিণ হবিরবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ হবিরবাড়ি গ্রামে কালু ফকিরের ভিটায় সপরিবারে বসবাস করছেন। সেথায় বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সভাপতি হিসেবে আছেন। তিনি বেশকিছু সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত, সময়ের আলোচিত বিচক্ষণ ও সচেতন লেখক, সাহিত্যের সকল শাখায় সমান বিচরণ করেন। ছড়া সাহিত্যে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই দেশি বিদেশি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তার অনেক লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। ধর্মীয় চেতনা ও প্রগাঢ় দেশ প্রেমে উদ্বেলিত একজন স্বাধীনচেতা কবি, আল কুরানের আমপারা সহ বেশ ক,টি সূরা কাব্যিক অনুবাদ করেছেন। দেশ, ধর্ম প্রকৃতি, কেটে খাওয়া মানুষ শ্রমিকদের কথা, সত্য সুন্দরের বিনির্মাণ তার লেখার বিষয়। তিনি গণমাধ্যম কর্মী।ও একজন সফল সাংগঠনিক ও সম্পাদক। ন্যাশনাল পরিমার গ্রুপে কর্মরত আছেন, ফুটওয়্যার ইউনিটে।এই সফল ছান্দসিক প্রতিভাবান কবি একজন সূক্ষ্ম ছন্দের কারিগর। তিনি সফল সম্পাদক ও সাংগঠনিক। লেখনি সাহিত্য সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। তার লেখা পাঠক সমাজে দারুণ প্রশংসা পেয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তি গোষ্ঠী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসঙ্গতি দুঃশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছন্দায়িত প্রতিবাদ করেন কিশোর তরুণ নবীনদের জন্য সহজ সরল নান্দনিক ভাষায় উপস্থাপন করেন তার লেখা, প্রকাশিত বই (ক) কুটুম পাখি,( খ) সুতোর টানে স্বপ্ন বুনে,(গ) বর্ণ দিয়ে ছড়া, (ঘ) ছন্দ লতা সহ বেশ কিছু সাড়া জাগানো পান্ডুলিপি বই আকারে প্রকাশের অপেক্ষায়। কবি মাত্র ষোল বছরে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার ঝিলিমিলি পাতার লেখা খেলায় প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন। ভাষা সৈনিক মোস্তফা এম এ মতিন সাহিত্য পুরস্কার, সৃষ্টি সাহিত্য পুরস্কার, জ্যেতি হক ছড়া পুরস্কার সহ অনেক সাহিত্য সন্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন। মুঠোফোন ০১৭২০০৭৯৬৮০Email jalaluddinkobi@gmail, fb,Mohammad jalal Uddinমোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এর এক গুচ্ছ ছড়া কবিতাকবিতা সুন্দরীমোহাম্মদ জালাল উদ্দিনপ্রেমের শিশিরে সিক্ত করছোলাজুক বধুঁর মতো,মনের বাগানে গোলাপ ফুটালেস্বপ্নের রঙ যতো।কবিতা তোমায় ভালোবাসি বলেরাতেও জেগেজি আমি,চুপচাপ একা গোপনেও করিকতইনা পাগলামি।সুগভীর প্রেম নেই প্রবলেমঅফুরান ভালোবাসা,কবিতার ঠোঁটে গোলাপ খুঁজেছিপ্রতিদিন যাওযা আসা।দুখে কিবা সুখে আমরা প্রেমিককবিতার সাথে আমি,বহুকাল আগে আমাদের প্রেমএখনও অনেক দামি।নতুন বছর নতুন বইমো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন_________________________নতুন বছর নতুন পড়া নতুন ক্লাসে ওঠা,বইগুলো তাই আগের চেয়ে একটু মোটাসোটা।ছোট্ট খুকি নেই কোনো ভয় সবগুলো বই পড়ে,এগিয়ে যাও আলোর পথে ভয়টাকে জয় করে।ভয়ভীতি সেই মনের ভেতর রাখবেনা একচুল,তুমিই হবে ভবিষ্যতের রঙিন গোলাপ ফুল।আব্বু যদি কাল থেকে তার না যায় অফিসটাতে,মা যদি তার কাজ না করে ওঠবে কি ভাত পাতে?যার যেটা কাজ নিয়মিত করতে হবে তাকে,কর্ম দিয়ে জীবন থেকে সড়াও আধাঁরটাকে।মনদিয়ে তাই পড়তে হবে থাকবেনা একরোখা,অধ্যাবসায় জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালবে অবুঝ খোকা।শিখতে হবে লিখতে হবে প্রতিদিনের পড়া,জ্ঞানের আলোয় জাগবে স্বদেশ হাসবে বসুন্ধরা।আলসেমিটা ছাড়তে হবে শিখতে হবে রোজ,তখন সবাই ভালোবেসে রাখবে তোমার খুঁজ।জড়িয়ে বুকে করবে আদর মামনি ও বাবা,তুমি হবে ছাত্র ভালো মারহাবা মারহাবা।(মাদরাসা দারুসসালাম আল ফাইজিয়া কে)নিবেদিত কবিতামোহাম্মদ জালাল উদ্দিনদারুস সালাম প্রিয় মাদরাসা
অতল জ্ঞানের কুপি,আসমানি কিতাব পড়েছি আমিওমাথার পরেছি টুপি।দারুস সালাম জীবন শুরুতেপ্রথম শিক্ষা পাঠ,আলোকিত হলো হৃদয় বাগানমনের সবুজ মাঠ।ইট পাথরের গাঁথুনি ছিলোনামাদ্রাসা ছিল টিনের,বুকভরা শুধু স্বপ্ন বুনেছিনিত্য নতুন দিনের।স্নেহ মমতায় মিলেমিশে থাকাআমরা জেগেছি প্রাতে,আড্ডা দিয়েছি নদীটার ধারেসহপাঠীদের সাথে।দারুস সালাম এখনো মনেরআয়নাতে রোজ ভাসে,আসমানী পাঠে বিজ বুনে বুকেকুরানের পাখিরা আসে।চোখের সামনে গ্রামবাসি দেখেআলেম ওলামা উচ্চ,দারুস সালাম আল-ফাইজিয়াজান্নতি ফুল গুচ্ছ।ঐতিহাসিক দারুস সালামঠিকানা অনেক দূরে,সেই জীবনের পরতে পরতেআলোয় জোনাকি উড়ে।সেই মাদ্রাসা মনের আকাশেনতুন সকাল ভোর,স্মৃতির মিনার প্রীতি হয়ে ভাসেহৃদয়ে ছিঁটায় নূর,দারুস সালাম প্রিয় মাদ্রাসাআধার করেছে দূর,আমার মনের শুভ্র খাতায়স্বপ্ন সমুদ্দুর।মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এর আঞ্চলিক ভাষায় ছড়া কবিতালাউমোহাম্মদ জালাল উদ্দিন(কিশোরগঞ্জ গঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায়)কিতা করাম সহালবেলাই পাইনা কামের বাও,
বাঁশের গুরিত লটকে আছে ভুত্তেমারা লাউ।নগদতুলা লাউডারে ভাই লাগে মনের মতন,সহাল-বিহাল করুইন বেডা লাউয়ের গাছের যতন।রান্দে লাউযের আগা- ডুগা লাউয়ের কঁচিপাতালাউয়ের ঝুলে ভাঙ্গে দিছে বাত্তি মাছের মাথা।লাউয়ের চানুন ফতুরি খাই সাদা লাউয়ের ফুল,রোজা রাহি মুত্তাকী অই ভাঙ্গি মনের ভুল।পান্নেলাউয়ের বাজার গরম কিন্নে দেহুইন বেডা,লাউয়ের চারা লাগাইন ভায়ু করুন্নাযে লেডা।ঢেঁহি(কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা)মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি নঅহন আছে ধানের মিশিনিহুদা ধানের টাইল,আগের দিনঅ ঘরঅ আচিনঢেঁহি চেহাইট গাইল।মেশিন ছাড়াই বান্তরে ধানকুটত চাল ও ডাল,অহন দেহি বেজাল বেশিলাগতাছে গুলমাল।বেহের আতই আছে নতুভুত্তেমারা ফুন,ফুনের ছুডে মাথাত্ ওডেহারামজাদা গুন।জার হরে বেতালা(কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা)মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি নগাল ফাডে পাও ফাডে মন নাই কামে,লেপ নাই ক্যাথা নাই অত জার নামে!ডায়া লাগে আড্ডিতে দুই ঠোডে কামড়ায়,জারে লোক মারা যায় ডায়া লাগে চামড়ায়।সুর্যের দেহা নাই আবুদুব কান্দে,উরিগুডা ভাজে বউ কলাপিডে রান্দে।কামে লাগে আতাফাতা কুম্বালা আইবাইন,হিদলের বত্তাদে মেরাপিডে খাইবাইন।ছন্দময় কুরআনসূরা ক্বদর(কাব্যিক অনুবাদ)মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনআয়াত সংখ্যা --( ১)হইতে (৫)নিশ্চই আমি কুরান শরীফনাজিল করেছি তাতে--অতি সন্মানি নিয়ামতে ভরাসেই ক্বদরের রাতে।আপনি জানেন? সু-প্রিয় রাসূলক্বদর রজনি কি সে?হাজার মাসের চেয়ে উত্তমবরক্বত মিশেমিশে।ফেরেশতার দল ফেরেশতা রুহ্বরক্বত নিয়ে আসে,মহান রবের আদেশ ক্রমেইসব মানুষের পাশে।ক্বদর রজনি শান্তিময় থাকেফজর অক্ত জাগে,অতি ফজিলত বহমান থাকেসূর্য ওঠার আগে।ভোরের গান
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনভোরের আলোয়ফুলেরা হাসেঅলি ছুটে আসে ভোর বাতাসেবিশুদ্ধতায় সুবাস ছড়ায়।ফুল পাখি লতাএতো সজিবতাজেগে ওঠে ভোরে কার ইশারায়।ঝুরুঝুরু কাঁপে মিহিন পাতাস্বপ্ন ছড়ানো মনের খাতাসুখের পালকি ভেসে বেড়ায়।ভোরের আযান,পাখিদের গানবিমুগ্ধতা মন বাগিছায়।অসীমের প্রেমেমন থাকে থেমেফুলগুলো হাসেনীলে পাখি ভাসেঅসীমের কলে সবকিছু চলেএতো মমতায়।ঈদের ছড়ামোহাম্মদ জালাল উদ্দিনঈদুল আজহা এসেছে আবারএকটি বছর ঘুরে,শুভেচ্ছা দোয়া সবার জন্যমনের ওঠোন জুড়ে।তোমরা তো জানো ধরার মানুষকতোটা হযেছে বন্য,বিশ্ব মুমিন এক হয়ে যাওফিলিস্তিনির জন্য।মনে যতো আছে শয়তানি ছালহিংসা বিভেদ ভুলে,ঈদের শিক্ষা বিশুদ্ধ হইমনের দুয়ার খুলে,।জেফতমোহাম্মদ জালাল উদ্দিন(কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায়)বুবুল্লগে মেমান আইছে আইছে আবুদাইন,গাদলা গেছে আপনেরাতে কুম্বালা আইবাইন?জেফত দিলেও আইন্ন্যা কেরে দেহিনে আর ছায়া,বেড়ানি ত ভুল্লে গেছুইন ভুল্লে গেছুইন মায়া।বড়হা ঈদের জেফত অহন করুইন্না যে মিস,রাগগোসা ও হিংসামি জিদ সব করি ডিসমিস।সময়ের ছড়ামো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি নরাজপথে সেই রক্তের স্রোতেবিজয়ের ঢেউ ওঠেআবু সাঈদের জীবনের দামেস্বাধীনতা ফুল ফোটে।মুগ্ধকে দেখে বিমুগ্ধ জাতিছাত্র জনতার লাশে,ইতিহাস হয়ে আবার নতুনস্বাধীনতা সুখ আসে।বাংলার মাটি বীরদের ঘাঁটিঈমানী শক্তি ভরা,সকলেই চাই শান্তি সুখেরনতুন বসুন্ধরা।যে সকল প্রাণ ঝরে গেলো শেষেছাত্র শিশু ও নারী,আল্লাহ মালিক লিখে দাও তুমিজান্নাতি ঘর বাড়ি।পালিয়ে গেছেন দিল্লিমো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি নমুগ্ধ , সাঈদ, ছাত্র শিশুরাতপ্ত বুলেট বুকে,বারুদ মাখানো আগুন দিয়েছেস্বৈরাচারীর মুখে।হাতের মুঠোয় বাঁশের লাঠিতেপ্রহরী রয়েছে কাড়া,স্বাধীনতা ফের রাখবে ধরিয়াজাগ্রত মন পাড়াদেখবেনা আর আয়নাবাজিরস্বৈরাচারের ঘর,স্বাধীনতা আসে রক্তের স্রোতেজাগ্রত অন্তর।বেড়িয়ে আসছে রাঘব বোয়ালগভীর থলের বিল্লি,স্বৈরশাসক ঐরাবতিরাপালিয়ে গেছেন দিল্লি।
প্রকাশকঃ সবুজ হুসাইন।
সম্পাদকঃ মোঃ ইমদাদুল হক নয়ন।