• বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
Master’s of Book – মাস্টার্স অব বুকস” আসছে আগামী ১৫ নভেম্বর। বাংলার কথা। শিরোনাম;বেসরকারি শিক্ষকের কান্না রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম  তারিখ:১৮/১০/২০২৫ 💐শিরোনাম: কৈডোলার স্মৃতিবিজড়িত সকাল ✍️লেখা: আপন ইতিহাস নির্ভর ছোট গল্প 🖋️রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম তারিখ:১৮/১০/২০২৫ কবিতাঃ- মান ইজ্জত সারা ✍️- রফিকুজ্জামান রফিক। Poem: The Watermark of the Heart. ✍️ Poet: Rownoka Afruz Sarkar গল্প: মায়ের হাতের ভাত, রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম 🌺 তারিখ:১৭/১০/২০২৫ কবিতাঃ প্রেম লেখিকাঃ জান্নাতুন_ফেরদৌস । দৈনিক বাংলার কথা। শিরোনাম:“শিক্ষক জাগরণের গান” রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম  তারিখ:১৫/১০/২০২৫ ইনসাফভিত্তিক সমাজ ও বেতন-ভাতা নির্ধারণের গুরুত্ব, রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম 🌺 তারিখ:১৫/১০/২০২৫ শিরোনাম:শিক্ষকের বাজেট রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম তারিখ:১৫/১০/২০২৫

বাবার প্রতি ভালবাসা

মোঃ আরাফাতুল ইসলাম / ২১ বার পড়া হয়েছে
আপডেট: রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

📣🥰 কে লিখেছেন জানি না, কিন্তু হৃদয়ের গভীরে গিয়ে বাজে এই কথা গুলো…

 

মা আমাদের শরীর গঠন করেন,

আর বাবা গঠন করেন আমাদের ভবিষ্যৎ।

মায়ের গর্ভে ৯ মাসের আশ্রয়,

আর বাবার কাঁধে চেপে ছিলাম বছরের পর বছর

শুধু তার শ্রম, ঘাম, দায়িত্বের উপর ভর করেই হাঁটতে শিখেছি জীবনের পথে।

 

মা প্রতিদিন বিনা বেতনে রান্নাঘরে কাজ করেন,

আর বাবা মাসের শেষ কয়েনটাও আমাদের হাসির জন্য খরচ করে দেন।

তবুও ভালোবাসার প্রকাশে মা যেনো রঙিন আকাশ,

আর বাবা হন সেই নীরব বাতাস, যার অস্তিত্ব টের পাই তখনই,

যখন তিনি একটু কম থাকেন।

 

মা আমাদের প্রিয় খাবার নিজের হাতে রান্না করেন,

আর বাবা দোকান ঘুরে ঘুরে সেটা খুঁজে এনে দেন

কিন্তু কৃতিত্বটুকু দেন মায়েরই হাতে।

 

মায়ের ভালোবাসা চোখে পড়ে,

বাবার ভালোবাসা থাকে মাটির নিচে শিকড় হয়ে

যা না দেখলেও বোঝা যায়, তার কারণেই আমরা শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।

 

ফোনে কথা বলার সময় প্রথমে মায়ের খোঁজ নিই,

মায়ের কাঁধে কাঁদতে পারি,

কিন্তু বাবা কেবল দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকেন

চোখে হয়তো হাজার কথা, মুখে কোনো শব্দ নেই।

সন্তান কষ্ট পেলে তিনিও কষ্ট পান,

কিন্তু কষ্টের ভাষা কখনো শিখেননি তিনি।

 

মায়ের আলমারিতে আছে রঙিন শাড়ি,

বাচ্চাদের জামার আলমারি সাজানো,

আর বাবার আলমারিতে সেই পুরোনো কিছু জামা

যা কিনতে গিয়ে তিনি নিজের নতুন কিছু চাওয়া ভুলে গেছেন।

 

মায়ের গয়নার বাক্সে সোনা-রুপা,

আর বাবার আঙুলে বিয়ের সময়ের সেই একমাত্র আংটি

যা কখনো খোলেন না, কারণ তাতেই জড়িয়ে আছে সব দায়িত্ব, প্রতিশ্রুতি।

 

বাবা সকালে বের হন,

রোদ, বৃষ্টি, ক্লান্তি উপেক্ষা করে ফিরে আসেন রাতে,

শুধু সন্তানদের মুখ দেখেই প্রাণ ফিরে পান।

শ্রান্ত মুখে থাকে তৃপ্তির হাসি,

কারণ পরিবারের সুখটাই তার সবচেয়ে বড় অর্জন।

 

কখনো কোনো স্বীকৃতি চান না,

চোখে জল আসলেও লুকিয়ে ফেলেন,

কারণ তিনি জানেন

বাবা কখনো কাঁদে না, বাবা ভেঙে পড়ে না

তিনি তো পাহাড়, মেরুদণ্ড, আশ্রয়।

 

বয়সের ভারে একদিন তিনিও ক্লান্ত হয়ে পড়েন,

তখন সন্তান ভাবে, মা ঘরের কাজে সাহায্য করেন,

কিন্তু বাবা আর কিছুই করতে পারেন না

কেউ ভাবে না, তিনিই তো একদিন সব করেছিলেন।

 

বাবা যেন সেই বাতিঘর,

যিনি নিজের আলোতে নয়, অন্যদের পথ দেখাতে নিজেকে পোড়ান।

 

তাই বলি,

বাবা পিছিয়ে থাকেন না,

তিনি সামনে আসেন না কারণ তিনি জানেন,

ভালোবাসা প্রমাণে নয়, দায়িত্বে প্রকাশ পায়।

আর তিনিই সেই মানুষ, যিনি নীরব থেকেও পুরো সংসারটা আগলে রাখেন।

 

“শ্রদ্ধা হোক বাবার প্রতি যে নীরব থেকে সবকিছু দেন, কিন্তু কিছুই চান না।” 🖤


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরো লেখা

📲 Kaj Kori App – মোবাইল দিয়ে ইনকাম করুন!

অ্যাপে রয়েছে Rocket Game, Ludo, Spin & Earn, আর্টিকেল রিডিং, রেফার বোনাস — ১০০ পয়েন্ট = ১ টাকা

📥 Kaj Kori App ডাউনলোড করুন