বাংলার কথা | আন্তর্জাতিক | ৪ আগস্ট ২০২৫
ইরান-পাকিস্তান সম্পর্ক জোরদারে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর
ইসলামাবাদে সরকারি সফরকালে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. মাসউদ পেজেশকিয়ান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ১২টি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিগুলো অর্থনীতি, বাণিজ্য, কৃষি, পর্যটন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরিবহন, আইনগত সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ খাতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের যৌথ বৈঠকে এই সমঝোতাগুলো স্বাক্ষরিত হয়, যা তেহরান-ইসলামাবাদ সম্পর্কের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ইঙ্গিত দেয়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সফর উপলক্ষে প্রকাশিত এক নিবন্ধে জানান, “তেহরান ও ইসলামাবাদ একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ গঠনে পারস্পরিক অংশীদার।”
ইরান বর্তমানে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য উদ্বৃত্ত উপভোগ করছে। গত অর্থবছরে ইরানের রপ্তানি ছিল ২.৪২৩ বিলিয়ন ডলার এবং আমদানি ছিল ৭০৬ মিলিয়ন ডলার। তবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে উভয় দেশের বাণিজ্যে কিছুটা পতন দেখা দিয়েছে, যার পেছনে আঞ্চলিক অস্থিরতা দায়ী বলে জানা গেছে।
ইরানের বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা (TPO)-র এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালেই দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য কার্যকর হয়েছিল, তবে বাস্তব অগ্রগতি ছিল খুবই সীমিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সদ্য স্বাক্ষরিত এই চুক্তিগুলো দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সহযোগিতাকে নতুন গতি দেবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের এই সফর শুধু অর্থনৈতিক বা কূটনৈতিক নয়, বরং ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে একটি কৌশলগত বার্তাও বহন করে—আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও পারস্পরিক নির্ভরশীলতার দিকেই দুই দেশের অগ্রগতি।
– বাংলার কথা ডেস্ক
মোঃ ফরিদুল ইসলাম 🌺