• বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন

ছোট গল্প: অনুতপ্ত হৃদয় ❤️ রচনায়: মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম 🌺 প্রভাষক আরবি বলদিআটা ফাজিল মাদ্রাসা ধনবাড়ী টাঙ্গাইল জেলা।

Reporter Name / ৬ বার পড়া হয়েছে
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

🌺ছোট গল্প: অনুতপ্ত হৃদয় 🌺

এখানে আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসটির উপর ভিত্তি করে একটি গল্প দেওয়া হলো:
একদা এক দেশে বাস করত এক ব্যক্তি, যার হাতে ঝরেছিল ৯৯টি তাজা প্রাণ। তার অন্তর ছিল পাপে পূর্ণ, আর জীবন ছিল অন্ধকারে ঘেরা। অনুশোচনার আগুনে পুড়ে একদিন সে অস্থির হয়ে পড়ল। সে জানতে চাইল, পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় জ্ঞানী কে? মানুষ তাকে একজন পাদ্রীর সন্ধান দিল।
লোকটি সেই পাদ্রীর কাছে গিয়ে বলল, “আমি ৯৯টি খুন করেছি, আমার কি তওবার কোনো সুযোগ আছে?”
পাদ্রী নির্দ্বিধায় উত্তর দিলেন, “না।”
পাপের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত সেই ব্যক্তিটি ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে তাকেও হত্যা করে ১০০টি খুন পূর্ণ করল। কিন্তু তার হৃদয়ের অস্থিরতা তাতেও থামল না। সে আবার খুঁজে ফিরল সবচেয়ে বড় জ্ঞানী ব্যক্তিকে। এবার মানুষ তাকে একজন আলেমের সন্ধান দিল।
আলেমকে সে নিজের পাপের কথা খুলে বলল। “আমি ১০০টি খুন করেছি। আমার কি তওবার কোনো পথ আছে?”
আলেম তার দিকে তাকালেন, তার চোখে ছিল না কোনো ঘৃণা, বরং ছিল করুণা আর আশা। তিনি বললেন, “অবশ্যই আছে! কে তোমার আর তওবার মাঝে বাধা হতে পারে? তুমি এই পাপের ভূমি ছেড়ে অন্য এক দেশে চলে যাও। সেখানে এমন এক দল মানুষ আছে যারা সারাক্ষণ আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকে। তুমি তাদের সাথে যোগ দাও।”
আলেমের কথায় আশার আলো দেখতে পেল লোকটি। সে নতুন জীবনের সন্ধানে যাত্রা শুরু করল। কিন্তু ভাগ্য তাকে বেশি দূর যেতে দিল না। পথের মাঝেই তার মৃত্যু উপস্থিত হলো।
তার আত্মা কবজ করার জন্য রহমতের ফেরেশতা আর আজাবের ফেরেশতারা উপস্থিত হলেন। রহমতের ফেরেশতারা বললেন, “এই ব্যক্তি তওবা করে আল্লাহর দিকে আসছিল, তাই সে আমাদের প্রাপ্য।”
আজাবের ফেরেশতারা বললেন, “সে তো কোনো ভালো কাজ করেনি, তাই সে আমাদের প্রাপ্য।”
তাদের এই বিতর্কের সমাধানে একজন মানব রূপী ফেরেশতা আসলেন। তিনি বললেন, “তোমরা এই দুটি স্থানের দূরত্ব মেপে দেখো। যে স্থানের দিকে তার দূরত্ব বেশি, সে সেই স্থানেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।”
তারা মাপতে শুরু করলেন। অলৌকিকভাবে, যে স্থানটির দিকে সে যাত্রা করেছিল, সেদিকে সে এক বিঘত বেশি এগিয়ে ছিল। আল্লাহ নিজ কুদরতে সেই ভালো স্থানকে তার কাছে এনে দিলেন আর তার পাপের ভূমিকে দূরে সরিয়ে দিলেন।
ফলে রহমতের ফেরেশতারা তার জান কবজ করলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হলো। কারণ সে অনুতপ্ত হয়ে একটি ভালো জীবনের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল। এই গল্পটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে আল্লাহর রহমত সীমাহীন এবং আন্তরিক তওবার দরজা সবসময় খোলা থাকে।

🖋️রচনায়: মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম 🌺
🪷আরবি:প্রভাষক বলদীআটা ফাজিল মাদ্রাসা, ধনবাড়ী টাঙ্গাইল।
তারিখ:০৩/০৯/২০২৫


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরো লেখা

📲 Kaj Kori App – মোবাইল দিয়ে ইনকাম করুন!

অ্যাপে রয়েছে Rocket Game, Ludo, Spin & Earn, আর্টিকেল রিডিং, রেফার বোনাস — ১০০ পয়েন্ট = ১ টাকা

📥 Kaj Kori App ডাউনলোড করুন