• মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কবিতা: রাসূলের দিদার শুধু ইমানদারের রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম তারিখ:৪/১১/২০২৫ 🖋️ মজার গল্প: বংশের দেমাগ : এক পতনের আখ্যান। যৌবনের আর্তনাদ: এক নারীর অকথিত গল্প, রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম 🌺 ছোট গল্প:বাদশাহ ফরিদ উদ্দিন এর ন্যায্য মজুরি। রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম উপন্যাস :শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে।🍒 কবিতা: সময়মতো বিবাহ  রচনাঃমাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম  তারিখ:১/১১/২৩ 🖋️ গল্প: “আলেয়ার আফসোস আর সলিম উল্লাহর বোধোদয়”। রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম 🌺 মজার গল্প : বাঁশ খানের ন্যায়ের বাঁশ রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম ছোট গল্প: ক্ষুদ্র প্রাণীর শক্তি রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম  গল্প: “ছাগলের বাচ্চার হক” রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম 

উপন্যাস: একটি জানালা দুটি মন তৃতীয় পর্ব

মোঃ আরাফাতুল ইসলাম / ৭০ বার পড়া হয়েছে
আপডেট: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫
উপন্যাস: কি জানালা দুটি মন।

একটি জানালা দুটি মন

তৃতীয় পর্ব

কলমে: আরাফাতুল ইসলাম

 

ট্রেন ছুটে চলছে আগুনের মতো— জানালার কাঁচে গাঁথা হচ্ছে সময়, আর পাশের সিটে জমে উঠছে এক অদ্ভুত নীরবতা। সাহিদা একবার জানালার বাইরে তাকায়, আবার চোখ নামিয়ে ফেলে নিজের হাতের চুড়িগুলোর দিকে।

টুকটাক শব্দে তারা যেন কিছু বলতে চায়।

 

আরাফাত নিজের দিক থেকে সেই শব্দের মানে খুঁজতে থাকে।

 

“একটা কথা জিজ্ঞেস করি?” সাহস করে বলে সে।

 

“হ্যাঁ?” — উত্তরটা আসে নরম গলায়।

 

“তুমি কি বিশ্বাস করো, কারো নামই কাউকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারে?”

 

সাহিদা কিছুক্ষণ চুপ থাকে। তারপর ধীরে বলে,

“ফিরে আসাটা নামের কাজ নয়। সেটা হৃদয়ের… যদি সেখানে জায়গা থেকে থাকে, কেউ না কেউ আবার ফিরবেই।”

 

এই কথাটুকু শুনে আরাফাত হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে। এতটুকু আত্মবিশ্বাস এত অচেনা একটা মেয়ের মাঝে কীভাবে আসে? সাহিদা কি জানে না— এই নামটাই তার ভেতরের জমে থাকা জ্বালা উসকে দিয়েছে?

 

সে বলে,

“তোমার সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে মনে হচ্ছে, আমার জীবনের অনেক কিছু অদ্ভুতভাবে জেগে উঠছে।”

 

“যেমন?” — সাহিদার কণ্ঠে এবার একটু কৌতূহল।

 

“যেমন… ভেঙে যাওয়া বিশ্বাস, ভুলে যাওয়া অপেক্ষা, ফেলে আসা ভালোবাসা। সব যেন আবার ফিরে আসতে চাইছে।”

 

সাহিদা এবার স্থির চোখে তাকিয়ে থাকে আরাফাতের দিকে। একটুও না নড়ে। যেন চোখ দিয়ে অনুভব করতে চাইছে তার মনের ভিতরটা।

 

“তুমি কি এখনো তাকে ভালোবাসো? আগের সেই সাহিদাকে?”

 

প্রশ্নটা ছুঁয়ে যায় আরাফাতের বুকের মাঝখানে।

 

সে চোখ নামিয়ে ফেলে।

“ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না। শুধু রূপ বদলায়। হয়তো কোনো স্মৃতিতে, হয়তো কারো চোখে। আর কখনো কখনো… কোনো অপরিচিত জানালার পাশে বসা কারো নামেও।”

 

সাহিদা এবার মৃদু হেসে বলে—

“তুমি কি জানো? কিছু কিছু মানুষ নতুন নয়। তারা হয় পুরনো গল্পের পাতায় লেখা, যাদের আমরা হারিয়ে ফেলি ভুল ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে।”

 

ট্রেনের ছন্দ ধীরে ধীরে থেমে আসে। ঘোষণার শব্দে জানা যায়— কুমিল্লা স্টেশন এসে গেছে।

সাহিদা উঠে দাঁড়ায়।

 

আরাফাতের বুক ধকধক করে।

 

“তুমি নামবে এখানে?” সে প্রশ্ন করে।

 

“হ্যাঁ, বলেছিলাম তো, নানাবাড়ি যাচ্ছি।”

 

“আবার দেখা হবে?” — এই কথাটা যেন ঠোঁট থেকে না বলে আত্মা থেকে বেরিয়ে এলো।

 

সাহিদা একটু থামে।

তারপর নিজের ব্যাগ ঠিক করতে করতে বলল,

“হয়তো… যদি গল্পটা অসমাপ্ত না থাকে।”

 

সেই বলেই মেয়েটা দরজার দিকে এগিয়ে যায়। ট্রেন থামে। দরজা খোলে। আর চোখের সামনে মিলিয়ে যায় এক অদ্ভুত, অপূর্ণ অনুভবের নাম— সাহিদা।

 

আরাফাত বসে থাকে চুপচাপ।

তার পাশে জানালার কাঁচে ছায়া পড়ে থাকে দু’জনার।

একটা জানালা, দুটি মন— আবার ভিন্ন পথে।

 

তবে কি সত্যিই শেষ হয়ে গেল?

 

নাকি গল্প এখনো শুরুই হয়নি?

 

চলবে…

 

 

পাঠক,

আপনারা যদি উপন্যাসটি ভালোবাসেন, অনুগ্রহ করে লাইক দিন, মন্তব্য লিখুন, আর শেয়ার করুন।

এই গল্পের প্রতিটি অধ্যায় হৃদয় দিয়ে গড়া আপনাদের ভালোবাসা ও সাড়া আমাদের প্রেরণা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরো লেখা

📲 Kaj Kori App – মোবাইল দিয়ে ইনকাম করুন!

অ্যাপে রয়েছে Rocket Game, Ludo, Spin & Earn, আর্টিকেল রিডিং, রেফার বোনাস — ১০০ পয়েন্ট = ১ টাকা

📥 Kaj Kori App ডাউনলোড করুন