ছোট গল্প: ক্ষুদ্র প্রাণীর শক্তি
প্রাচীন কালে এক অত্যাচারী রাজা ছিল। সে মনে করত তার ক্ষমতার কোনো সীমা নেই। মানুষকে কষ্ট দেওয়া, দুর্বলদের অধিকার হরণ করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। রাজপ্রাসাদের দরবারে দাঁড়িয়ে সে বলত—
“আমার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারবে না। আমি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী রাজা!”
লোকেরা ভয়ে চুপ থাকত। কিন্তু আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তার অন্যায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
এক রাতে রাজা তার সোনার সিংহাসনে বসে ঘুমাচ্ছিল। তখন এক ক্ষুদ্র মশা এসে তার নাকে গুনগুন করতে লাগল। রাজা বিরক্ত হয়ে হাত নেড়ে মশাটিকে তাড়াতে চাইলো। কিন্তু মশাটি একেবারে তার নাকে ঢুকে গেল। মুহূর্তেই ভয়ংকর ব্যথা শুরু হলো। রাজা কাতরাতে লাগল। রাজ্যের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক, যাদুকর, সৈন্য—কেউ তাকে বাঁচাতে পারল না।
অবশেষে সেই শক্তিশালী রাজা, যে হাজার হাজার মানুষের ওপর জুলুম করত, সে এক ক্ষুদ্র মশার কারণে ধ্বংস হয়ে গেল। তোমরা কি জানো সেই বাদশার নাম কি তার নাম ছিল নমরুদ ইবরাহীম আলাই সালাম এবং তার আল্লাহর বিরুদ্ধে সে নিজে খোদা দাবি করে লড়াই করেছিল।
মানুষ তখন বুঝল—আল্লাহ্ চাইলে সবচেয়ে বড় জালিমকেও ক্ষুদ্র প্রাণীর মাধ্যমে শাস্তি দিতে পারেন। আল্লাহর কাছে বড় বা ছোট কিছুই কঠিন নয়। সামান্য করুন কাশির জন্য আমরা সারা বিশ্ব অনেক মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছি সুতরাং আমরা কাশি থেকেও দূরে থাকবো কেন না এটা এমন একটা ভয়ানক ব্যাধি এক জন থেকে বিভিন্ন জনে বিস্তার করবে। মনে রাখবেন চৌত্রের দুপুরে যেমন খাঁ খাঁ রোদে পুড়ে মাঠঘাট চৌচির হয়ে যায় তখন তখন রহমতের বৃষ্টি এসে ক্ষেত ভিজিয়ে দেয় শান্ত হয় পৃথিবী। সুতরাং সর্বক্ষেত্রেই আমাদের আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে অহংকার মানুষকে চিরতরে বিনাশ করে দেয় একথা বিশ্বাস করতে হবে।
ইবলিশ বিশ্বাস না করার কারণেই আজ বিতারিত সুতরাং আমরা আল্লাহকে মানবো অহংকার থেকে দূরে থাকবো।
শিক্ষণীয় বিষয়: মানুষ যত শক্তিশালী হোক না কেন, আল্লাহর ক্ষমতার সামনে সবাই দুর্বল। তাই জুলুম নয়, ন্যায় ও দয়া করা উচিত।
🖋️রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম
আরবি প্রভাষক বলদীআটা ফাজিল স্নাতক মাদ্রাসা ধনবাড়ী টাঙ্গাইল জেলা।
তারিখ:০২/১১/২০২৫
Copyright ©️ All rights reserved by author maulana MD FARIDUL Islam.