• শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
কবিতা- বেস্ট ফ্রেন্ড -কবি-সাকিলা ইসলাম 🖋️ সনেট: চুলকানির বাম আর নারীনাম🙆 মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম 🌼 প্রভাষক: আরবি বলদিআটা ফাজিল স্নাতক মাদ্রাসা। শিরোনাম: মানসিক শান্তি*  *রচনাঃ মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম তারিখ:২৩/১০/২০২৫ Master’s of Book – মাস্টার্স অব বুকস” আসছে আগামী ১৫ নভেম্বর। বাংলার কথা। শিরোনাম;বেসরকারি শিক্ষকের কান্না রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম  তারিখ:১৮/১০/২০২৫ 💐শিরোনাম: কৈডোলার স্মৃতিবিজড়িত সকাল ✍️লেখা: আপন ইতিহাস নির্ভর ছোট গল্প 🖋️রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম তারিখ:১৮/১০/২০২৫ কবিতাঃ- মান ইজ্জত সারা ✍️- রফিকুজ্জামান রফিক। Poem: The Watermark of the Heart. ✍️ Poet: Rownoka Afruz Sarkar গল্প: মায়ের হাতের ভাত, রচনায় মাওলানা মোঃ ফরিদুল ইসলাম 🌺 তারিখ:১৭/১০/২০২৫ কবিতাঃ প্রেম লেখিকাঃ জান্নাতুন_ফেরদৌস । দৈনিক বাংলার কথা।

কবি পরিচিতি

মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন কবি ও ছড়াকার / ৩৭ বার পড়া হয়েছে
আপডেট: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

 

কবি পরিচিতি
 কবি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ১৯৮৪ সালের ২৫ শে,  জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানাধীন দড়িগাঙ্গাটিয়া গ্রামে জন্ম। বাংলার আদি কবি চদ্রাবতি,বীব ঈশাখা, ছড়া সাহিত্যের কারিগর , সুকুমার বড়ুয়া ,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, সহ দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের চারন ভূমি সাহিত্য সংস্কৃতির অভয়ারণ্য ছড়া সাহিত্যের রাজধানী  সেই কিশোরগঞ্জের সন্তান বহু গুনে গুণান্বিত কবি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। বর্তমানে ভালুকায় দক্ষিণ হবিরবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ হবিরবাড়ি গ্রামে  কালু ফকিরের ভিটায় সপরিবারে বসবাস করছেন। সেথায় বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সভাপতি হিসেবে আছেন। তিনি বেশকিছু  সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত, সময়ের আলোচিত বিচক্ষণ ও  সচেতন লেখক,  সাহিত্যের সকল শাখায়  সমান বিচরণ করেন। ছড়া সাহিত্যে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই দেশি বিদেশি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তার অনেক লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। ধর্মীয় চেতনা ও প্রগাঢ় দেশ প্রেমে উদ্বেলিত একজন স্বাধীনচেতা কবি, আল কুরানের আমপারা সহ বেশ ক,টি সূরা কাব্যিক অনুবাদ করেছেন।  দেশ, ধর্ম প্রকৃতি, কেটে খাওয়া মানুষ শ্রমিকদের কথা, সত্য  সুন্দরের বিনির্মাণ তার লেখার বিষয়। তিনি গণমাধ্যম কর্মী।ও একজন সফল সাংগঠনিক ও সম্পাদক। ন্যাশনাল পরিমার গ্রুপে কর্মরত আছেন, ফুটওয়্যার ইউনিটে।
এই সফল ছান্দসিক প্রতিভাবান কবি একজন সূক্ষ্ম ছন্দের কারিগর। তিনি সফল সম্পাদক ও সাংগঠনিক। লেখনি সাহিত্য সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।   তার লেখা পাঠক সমাজে দারুণ প্রশংসা পেয়েছে।  পাশাপাশি ব্যক্তি গোষ্ঠী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসঙ্গতি দুঃশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছন্দায়িত প্রতিবাদ করেন কিশোর তরুণ নবীনদের জন্য সহজ সরল নান্দনিক ভাষায় উপস্থাপন করেন তার লেখা, প্রকাশিত বই (ক) কুটুম পাখি,( খ) সুতোর টানে স্বপ্ন বুনে,(গ) বর্ণ দিয়ে ছড়া, (ঘ) ছন্দ লতা সহ বেশ কিছু সাড়া জাগানো পান্ডুলিপি বই আকারে প্রকাশের অপেক্ষায়। কবি মাত্র ষোল বছরে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার ঝিলিমিলি পাতার লেখা খেলায় প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন। ভাষা সৈনিক মোস্তফা এম এ মতিন সাহিত্য পুরস্কার, সৃষ্টি সাহিত্য পুরস্কার, জ্যেতি হক ছড়া পুরস্কার সহ অনেক সাহিত্য সন্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন। মুঠোফোন ০১৭২০০৭৯৬৮০
Email jalaluddinkobi@gmail, fb,Mohammad jalal Uddin
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এর এক গুচ্ছ ছড়া কবিতা
কবিতা সুন্দরী
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
প্রেমের শিশিরে সিক্ত করছো

লাজুক বধুঁর মতো,
মনের বাগানে গোলাপ ফুটালে
স্বপ্নের রঙ যতো।
কবিতা তোমায় ভালোবাসি বলে
রাতেও জেগেজি আমি,
চুপচাপ একা  গোপনেও করি
কতইনা  পাগলামি।
সুগভীর প্রেম নেই প্রবলেম
অফুরান ভালোবাসা,
কবিতার ঠোঁটে  গোলাপ খুঁজেছি
প্রতিদিন যাওযা আসা।
দুখে কিবা সুখে আমরা প্রেমিক
কবিতার সাথে আমি,
বহুকাল আগে আমাদের প্রেম
এখনও  অনেক দামি।
নতুন বছর নতুন বই
মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন
_________________________
নতুন বছর নতুন পড়া নতুন ক্লাসে ওঠা,
বইগুলো তাই আগের চেয়ে একটু মোটাসোটা।
ছোট্ট খুকি নেই কোনো ভয় সবগুলো বই পড়ে,
এগিয়ে যাও আলোর পথে ভয়টাকে জয় করে।
ভয়ভীতি সেই মনের ভেতর রাখবেনা একচুল,
তুমিই হবে ভবিষ্যতের রঙিন গোলাপ ফুল।
আব্বু যদি কাল থেকে তার না যায়  অফিসটাতে,
মা যদি তার কাজ না করে ওঠবে কি ভাত পাতে?
যার যেটা কাজ নিয়মিত করতে হবে তাকে,
কর্ম দিয়ে জীবন থেকে সড়াও আধাঁরটাকে।
মনদিয়ে তাই পড়তে হবে থাকবেনা একরোখা,
অধ্যাবসায় জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালবে অবুঝ খোকা।
শিখতে হবে লিখতে হবে প্রতিদিনের পড়া,
জ্ঞানের আলোয় জাগবে স্বদেশ হাসবে বসুন্ধরা।
আলসেমিটা ছাড়তে হবে শিখতে হবে রোজ,
তখন সবাই ভালোবেসে রাখবে তোমার খুঁজ।
জড়িয়ে বুকে করবে আদর মামনি ও বাবা,
তুমি হবে ছাত্র ভালো মারহাবা মারহাবা।
(মাদরাসা দারুসসালাম আল ফাইজিয়া কে)
নিবেদিত কবিতা
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন

দারুস সালাম প্রিয় মাদরাসা

অতল জ্ঞানের কুপি,
আসমানি কিতাব পড়েছি আমিও
মাথার পরেছি টুপি।
দারুস সালাম জীবন শুরুতে
প্রথম শিক্ষা পাঠ,
আলোকিত হলো  হৃদয় বাগান
মনের সবুজ মাঠ।
ইট পাথরের  গাঁথুনি ছিলোনা
মাদ্রাসা ছিল টিনের,
বুকভরা শুধু স্বপ্ন বুনেছি
নিত্য নতুন দিনের।
 স্নেহ মমতায় মিলেমিশে থাকা
আমরা জেগেছি প্রাতে,
আড্ডা দিয়েছি নদীটার ধারে
সহপাঠীদের সাথে।
দারুস সালাম এখনো মনের
আয়নাতে রোজ ভাসে,
আসমানী পাঠে বিজ বুনে বুকে
কুরানের পাখিরা আসে।
চোখের সামনে গ্রামবাসি দেখে
আলেম ওলামা উচ্চ,
 দারুস সালাম আল-ফাইজিয়া
জান্নতি ফুল গুচ্ছ।
ঐতিহাসিক দারুস সালাম
ঠিকানা অনেক দূরে,
সেই জীবনের পরতে পরতে
আলোয় জোনাকি উড়ে।
সেই মাদ্রাসা  মনের আকাশে
 নতুন সকাল ভোর,
স্মৃতির মিনার প্রীতি হয়ে ভাসে
হৃদয়ে ছিঁটায় নূর,
দারুস সালাম প্রিয় মাদ্রাসা
আধার করেছে দূর,
আমার মনের শুভ্র খাতায়
স্বপ্ন সমুদ্দুর।
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এর আঞ্চলিক ভাষায় ছড়া কবিতা
লাউ
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
(কিশোরগঞ্জ গঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায়)

কিতা করাম সহালবেলাই পাইনা কামের বাও,

বাঁশের গুরিত লটকে আছে ভুত্তেমারা লাউ।
নগদতুলা লাউডারে ভাই লাগে মনের মতন,
সহাল-বিহাল করুইন বেডা লাউয়ের গাছের যতন।
 রান্দে লাউযের আগা- ডুগা লাউয়ের কঁচিপাতা
লাউয়ের ঝুলে ভাঙ্গে দিছে বাত্তি মাছের মাথা।
লাউয়ের চানুন ফতুরি খাই সাদা লাউয়ের ফুল,
রোজা রাহি মুত্তাকী অই ভাঙ্গি মনের ভুল।
পান্নেলাউয়ের বাজার গরম কিন্নে দেহুইন বেডা,
লাউয়ের চারা লাগাইন ভায়ু করুন্নাযে লেডা।
ঢেঁহি
(কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা)
মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন
অহন আছে ধানের  মিশিনি
 হুদা ধানের টাইল,
আগের দিনঅ ঘরঅ আচিন
ঢেঁহি চেহাইট গাইল।
মেশিন ছাড়াই বান্তরে ধান
কুটত চাল ও ডাল,
অহন দেহি বেজাল বেশি
লাগতাছে গুলমাল।
বেহের আতই আছে নতু
ভুত্তেমারা ফুন,
ফুনের ছুডে মাথাত্ ওডে
হারামজাদা গুন।
জার হরে বেতালা
(কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা)
মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন
গাল ফাডে পাও ফাডে মন নাই কামে,
লেপ নাই ক্যাথা নাই অত জার নামে!
 ডায়া লাগে আড্ডিতে দুই ঠোডে কামড়ায়,
জারে লোক মারা যায় ডায়া লাগে চামড়ায়।
সুর্যের দেহা নাই  আবুদুব কান্দে,
উরিগুডা ভাজে বউ কলাপিডে রান্দে।
কামে লাগে আতাফাতা কুম্বালা আইবাইন,
হিদলের বত্তাদে  মেরাপিডে খাইবাইন।
ছন্দময় কুরআন

সূরা ক্বদর(কাব্যিক অনুবাদ)
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
আয়াত সংখ্যা –( ১)হইতে (৫)
নিশ্চই আমি কুরান শরীফ
নাজিল করেছি তাতে–
অতি সন্মানি নিয়ামতে ভরা
সেই ক্বদরের রাতে।
আপনি জানেন? সু-প্রিয় রাসূল
ক্বদর রজনি  কি সে?
হাজার মাসের চেয়ে উত্তম
বরক্বত মিশেমিশে।
ফেরেশতার দল ফেরেশতা রুহ্
বরক্বত নিয়ে আসে,
মহান রবের আদেশ ক্রমেই
সব মানুষের পাশে।
ক্বদর রজনি শান্তিময় থাকে
ফজর অক্ত জাগে,
অতি ফজিলত বহমান থাকে
সূর্য ওঠার আগে।

ভোরের গান

মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
ভোরের আলোয়

ফুলেরা হাসে
অলি ছুটে আসে ভোর বাতাসে
 বিশুদ্ধতায়  সুবাস ছড়ায়।
ফুল পাখি লতা
এতো সজিবতা
জেগে ওঠে ভোরে কার ইশারায়।
ঝুরুঝুরু কাঁপে মিহিন পাতা
স্বপ্ন ছড়ানো মনের খাতা
সুখের পালকি ভেসে বেড়ায়।
ভোরের আযান,
পাখিদের গান
বিমুগ্ধতা মন বাগিছায়।
অসীমের প্রেমে
মন থাকে থেমে
ফুলগুলো হাসে
নীলে পাখি ভাসে
অসীমের কলে সবকিছু চলে
এতো  মমতায়।
ঈদের ছড়া
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
ঈদুল আজহা এসেছে আবার
একটি বছর ঘুরে,
শুভেচ্ছা দোয়া সবার জন্য
মনের ওঠোন জুড়ে।
তোমরা তো জানো ধরার মানুষ
কতোটা হযেছে বন্য,
বিশ্ব মুমিন এক হয়ে যাও
ফিলিস্তিনির জন্য।
মনে যতো আছে শয়তানি ছাল
হিংসা বিভেদ ভুলে,
ঈদের শিক্ষা বিশুদ্ধ হই
মনের দুয়ার খুলে,।
জেফত
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
(কিশোরগঞ্জের  আঞ্চলিক ভাষায়)
বুবুল্লগে মেমান আইছে আইছে আবুদাইন,
গাদলা গেছে আপনেরাতে কুম্বালা আইবাইন?
জেফত দিলেও আইন্ন্যা কেরে দেহিনে আর ছায়া,
বেড়ানি ত ভুল্লে গেছুইন ভুল্লে গেছুইন মায়া।
বড়হা ঈদের জেফত অহন করুইন্না যে মিস,
রাগগোসা ও হিংসামি জিদ সব করি ডিসমিস।
সময়ের ছড়া
মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন
রাজপথে সেই  রক্তের স্রোতে
বিজয়ের ঢেউ ওঠে
আবু সাঈদের জীবনের দামে
স্বাধীনতা ফুল ফোটে।
মুগ্ধকে দেখে বিমুগ্ধ জাতি
ছাত্র জনতার লাশে,
ইতিহাস হয়ে আবার নতুন
স্বাধীনতা সুখ আসে।
বাংলার মাটি বীরদের ঘাঁটি
ঈমানী শক্তি ভরা,
সকলেই চাই শান্তি সুখের
নতুন বসুন্ধরা।
যে সকল প্রাণ ঝরে গেলো শেষে
ছাত্র শিশু ও নারী,
আল্লাহ মালিক লিখে দাও তুমি
জান্নাতি ঘর বাড়ি।
পালিয়ে গেছেন দিল্লি
মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন
মুগ্ধ , সাঈদ, ছাত্র শিশুরা

 তপ্ত বুলেট বুকে,

বারুদ মাখানো আগুন দিয়েছে
 স্বৈরাচারীর মুখে।
হাতের মুঠোয় বাঁশের লাঠিতে
 প্রহরী রয়েছে কাড়া,
স্বাধীনতা ফের রাখবে ধরিয়া
জাগ্রত মন পাড়া
দেখবেনা আর আয়নাবাজির
স্বৈরাচারের ঘর,
স্বাধীনতা আসে রক্তের স্রোতে
জাগ্রত অন্তর।
বেড়িয়ে আসছে রাঘব বোয়াল
গভীর থলের বিল্লি,
স্বৈরশাসক ঐরাবতিরা
পালিয়ে গেছেন দিল্লি।
On Mon, Aug 26, 2024, 9:15 PM Jalal Uddin <jalaluddinkobi@gmail.com> wrote:
কবি পরিচিতি
 কবি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ১৯৮৪ সালের ২৫ শে,  জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানাধীন দড়িগাঙ্গাটিয়া গ্রামে জন্ম। বাংলার আদি কবি চদ্রাবতি,বীব ঈশাখা, ছড়া সাহিত্যের কারিগর , সুকুমার বড়ুয়া ,শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, সহ দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের চারন ভূমি সাহিত্য সংস্কৃতির অভয়ারণ্য ছড়া সাহিত্যের রাজধানী  সেই কিশোরগঞ্জের সন্তান বহু গুনে গুণান্বিত কবি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। বর্তমানে ভালুকায় দক্ষিণ হবিরবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ হবিরবাড়ি গ্রামে  কালু ফকিরের ভিটায় সপরিবারে বসবাস করছেন। সেথায় বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সভাপতি হিসেবে আছেন। তিনি বেশকিছু  সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত, সময়ের আলোচিত বিচক্ষণ ও  সচেতন লেখক,  সাহিত্যের সকল শাখায়  সমান বিচরণ করেন। ছড়া সাহিত্যে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই দেশি বিদেশি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তার অনেক লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। ধর্মীয় চেতনা ও প্রগাঢ় দেশ প্রেমে উদ্বেলিত একজন স্বাধীনচেতা কবি, আল কুরানের আমপারা সহ বেশ ক,টি সূরা কাব্যিক অনুবাদ করেছেন।  দেশ, ধর্ম প্রকৃতি, কেটে খাওয়া মানুষ শ্রমিকদের কথা, সত্য  সুন্দরের বিনির্মাণ তার লেখার বিষয়। তিনি গণমাধ্যম কর্মী।ও একজন সফল সাংগঠনিক ও সম্পাদক। ন্যাশনাল পরিমার গ্রুপে কর্মরত আছেন, ফুটওয়্যার ইউনিটে।
এই সফল ছান্দসিক প্রতিভাবান কবি একজন সূক্ষ্ম ছন্দের কারিগর। তিনি সফল সম্পাদক ও সাংগঠনিক। লেখনি সাহিত্য সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।   তার লেখা পাঠক সমাজে দারুণ প্রশংসা পেয়েছে।  পাশাপাশি ব্যক্তি গোষ্ঠী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসঙ্গতি দুঃশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছন্দায়িত প্রতিবাদ করেন কিশোর তরুণ নবীনদের জন্য সহজ সরল নান্দনিক ভাষায় উপস্থাপন করেন তার লেখা, প্রকাশিত বই (ক) কুটুম পাখি,( খ) সুতোর টানে স্বপ্ন বুনে,(গ) বর্ণ দিয়ে ছড়া, (ঘ) ছন্দ লতা সহ বেশ কিছু সাড়া জাগানো পান্ডুলিপি বই আকারে প্রকাশের অপেক্ষায়। কবি মাত্র ষোল বছরে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার ঝিলিমিলি পাতার লেখা খেলায় প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন। ভাষা সৈনিক মোস্তফা এম এ মতিন সাহিত্য পুরস্কার, সৃষ্টি সাহিত্য পুরস্কার, জ্যেতি হক ছড়া পুরস্কার সহ অনেক সাহিত্য সন্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছেন। মুঠোফোন ০১৭২০০৭৯৬৮০
Email jalaluddinkobi@gmail, fb,Mohammad jalal Uddin
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এর এক গুচ্ছ ছড়া কবিতা
কবিতা সুন্দরী
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
প্রেমের শিশিরে সিক্ত করছো

লাজুক বধুঁর মতো,
মনের বাগানে গোলাপ ফুটালে
স্বপ্নের রঙ যতো।
কবিতা তোমায় ভালোবাসি বলে
রাতেও জেগেজি আমি,
চুপচাপ একা  গোপনেও করি
কতইনা  পাগলামি।
সুগভীর প্রেম নেই প্রবলেম
অফুরান ভালোবাসা,
কবিতার ঠোঁটে  গোলাপ খুঁজেছি
প্রতিদিন যাওযা আসা।
দুখে কিবা সুখে আমরা প্রেমিক
কবিতার সাথে আমি,
বহুকাল আগে আমাদের প্রেম
এখনও  অনেক দামি।
নতুন বছর নতুন বই
মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন
_________________________
নতুন বছর নতুন পড়া নতুন ক্লাসে ওঠা,
বইগুলো তাই আগের চেয়ে একটু মোটাসোটা।
ছোট্ট খুকি নেই কোনো ভয় সবগুলো বই পড়ে,
এগিয়ে যাও আলোর পথে ভয়টাকে জয় করে।
ভয়ভীতি সেই মনের ভেতর রাখবেনা একচুল,
তুমিই হবে ভবিষ্যতের রঙিন গোলাপ ফুল।
আব্বু যদি কাল থেকে তার না যায়  অফিসটাতে,
মা যদি তার কাজ না করে ওঠবে কি ভাত পাতে?
যার যেটা কাজ নিয়মিত করতে হবে তাকে,
কর্ম দিয়ে জীবন থেকে সড়াও আধাঁরটাকে।
মনদিয়ে তাই পড়তে হবে থাকবেনা একরোখা,
অধ্যাবসায় জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালবে অবুঝ খোকা।
শিখতে হবে লিখতে হবে প্রতিদিনের পড়া,
জ্ঞানের আলোয় জাগবে স্বদেশ হাসবে বসুন্ধরা।
আলসেমিটা ছাড়তে হবে শিখতে হবে রোজ,
তখন সবাই ভালোবেসে রাখবে তোমার খুঁজ।
জড়িয়ে বুকে করবে আদর মামনি ও বাবা,
তুমি হবে ছাত্র ভালো মারহাবা মারহাবা।
(মাদরাসা দারুসসালাম আল ফাইজিয়া কে)
নিবেদিত কবিতা
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন

দারুস সালাম প্রিয় মাদরাসা

অতল জ্ঞানের কুপি,
আসমানি কিতাব পড়েছি আমিও
মাথার পরেছি টুপি।
দারুস সালাম জীবন শুরুতে
প্রথম শিক্ষা পাঠ,
আলোকিত হলো  হৃদয় বাগান
মনের সবুজ মাঠ।
ইট পাথরের  গাঁথুনি ছিলোনা
মাদ্রাসা ছিল টিনের,
বুকভরা শুধু স্বপ্ন বুনেছি
নিত্য নতুন দিনের।
 স্নেহ মমতায় মিলেমিশে থাকা
আমরা জেগেছি প্রাতে,
আড্ডা দিয়েছি নদীটার ধারে
সহপাঠীদের সাথে।
দারুস সালাম এখনো মনের
আয়নাতে রোজ ভাসে,
আসমানী পাঠে বিজ বুনে বুকে
কুরানের পাখিরা আসে।
চোখের সামনে গ্রামবাসি দেখে
আলেম ওলামা উচ্চ,
 দারুস সালাম আল-ফাইজিয়া
জান্নতি ফুল গুচ্ছ।
ঐতিহাসিক দারুস সালাম
ঠিকানা অনেক দূরে,
সেই জীবনের পরতে পরতে
আলোয় জোনাকি উড়ে।
সেই মাদ্রাসা  মনের আকাশে
 নতুন সকাল ভোর,
স্মৃতির মিনার প্রীতি হয়ে ভাসে
হৃদয়ে ছিঁটায় নূর,
দারুস সালাম প্রিয় মাদ্রাসা
আধার করেছে দূর,
আমার মনের শুভ্র খাতায়
স্বপ্ন সমুদ্দুর।
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এর আঞ্চলিক ভাষায় ছড়া কবিতা
লাউ
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
(কিশোরগঞ্জ গঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায়)

কিতা করাম সহালবেলাই পাইনা কামের বাও,

বাঁশের গুরিত লটকে আছে ভুত্তেমারা লাউ।
নগদতুলা লাউডারে ভাই লাগে মনের মতন,
সহাল-বিহাল করুইন বেডা লাউয়ের গাছের যতন।
 রান্দে লাউযের আগা- ডুগা লাউয়ের কঁচিপাতা
লাউয়ের ঝুলে ভাঙ্গে দিছে বাত্তি মাছের মাথা।
লাউয়ের চানুন ফতুরি খাই সাদা লাউয়ের ফুল,
রোজা রাহি মুত্তাকী অই ভাঙ্গি মনের ভুল।
পান্নেলাউয়ের বাজার গরম কিন্নে দেহুইন বেডা,
লাউয়ের চারা লাগাইন ভায়ু করুন্নাযে লেডা।
ঢেঁহি
(কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা)
মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন
অহন আছে ধানের  মিশিনি
 হুদা ধানের টাইল,
আগের দিনঅ ঘরঅ আচিন
ঢেঁহি চেহাইট গাইল।
মেশিন ছাড়াই বান্তরে ধান
কুটত চাল ও ডাল,
অহন দেহি বেজাল বেশি
লাগতাছে গুলমাল।
বেহের আতই আছে নতু
ভুত্তেমারা ফুন,
ফুনের ছুডে মাথাত্ ওডে
হারামজাদা গুন।
জার হরে বেতালা
(কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা)
মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন
গাল ফাডে পাও ফাডে মন নাই কামে,
লেপ নাই ক্যাথা নাই অত জার নামে!
 ডায়া লাগে আড্ডিতে দুই ঠোডে কামড়ায়,
জারে লোক মারা যায় ডায়া লাগে চামড়ায়।
সুর্যের দেহা নাই  আবুদুব কান্দে,
উরিগুডা ভাজে বউ কলাপিডে রান্দে।
কামে লাগে আতাফাতা কুম্বালা আইবাইন,
হিদলের বত্তাদে  মেরাপিডে খাইবাইন।
ছন্দময় কুরআন

সূরা ক্বদর(কাব্যিক অনুবাদ)
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
আয়াত সংখ্যা –( ১)হইতে (৫)
নিশ্চই আমি কুরান শরীফ
নাজিল করেছি তাতে–
অতি সন্মানি নিয়ামতে ভরা
সেই ক্বদরের রাতে।
আপনি জানেন? সু-প্রিয় রাসূল
ক্বদর রজনি  কি সে?
হাজার মাসের চেয়ে উত্তম
বরক্বত মিশেমিশে।
ফেরেশতার দল ফেরেশতা রুহ্
বরক্বত নিয়ে আসে,
মহান রবের আদেশ ক্রমেই
সব মানুষের পাশে।
ক্বদর রজনি শান্তিময় থাকে
ফজর অক্ত জাগে,
অতি ফজিলত বহমান থাকে
সূর্য ওঠার আগে।

ভোরের গান

মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
ভোরের আলোয়

ফুলেরা হাসে
অলি ছুটে আসে ভোর বাতাসে
 বিশুদ্ধতায়  সুবাস ছড়ায়।
ফুল পাখি লতা
এতো সজিবতা
জেগে ওঠে ভোরে কার ইশারায়।
ঝুরুঝুরু কাঁপে মিহিন পাতা
স্বপ্ন ছড়ানো মনের খাতা
সুখের পালকি ভেসে বেড়ায়।
ভোরের আযান,
পাখিদের গান
বিমুগ্ধতা মন বাগিছায়।
অসীমের প্রেমে
মন থাকে থেমে
ফুলগুলো হাসে
নীলে পাখি ভাসে
অসীমের কলে সবকিছু চলে
এতো  মমতায়।
ঈদের ছড়া
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
ঈদুল আজহা এসেছে আবার
একটি বছর ঘুরে,
শুভেচ্ছা দোয়া সবার জন্য
মনের ওঠোন জুড়ে।
তোমরা তো জানো ধরার মানুষ
কতোটা হযেছে বন্য,
বিশ্ব মুমিন এক হয়ে যাও
ফিলিস্তিনির জন্য।
মনে যতো আছে শয়তানি ছাল
হিংসা বিভেদ ভুলে,
ঈদের শিক্ষা বিশুদ্ধ হই
মনের দুয়ার খুলে,।
জেফত
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন
(কিশোরগঞ্জের  আঞ্চলিক ভাষায়)
বুবুল্লগে মেমান আইছে আইছে আবুদাইন,
গাদলা গেছে আপনেরাতে কুম্বালা আইবাইন?
জেফত দিলেও আইন্ন্যা কেরে দেহিনে আর ছায়া,
বেড়ানি ত ভুল্লে গেছুইন ভুল্লে গেছুইন মায়া।
বড়হা ঈদের জেফত অহন করুইন্না যে মিস,
রাগগোসা ও হিংসামি জিদ সব করি ডিসমিস।
সময়ের ছড়া
মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন
রাজপথে সেই  রক্তের স্রোতে
বিজয়ের ঢেউ ওঠে
আবু সাঈদের জীবনের দামে
স্বাধীনতা ফুল ফোটে।
মুগ্ধকে দেখে বিমুগ্ধ জাতি
ছাত্র জনতার লাশে,
ইতিহাস হয়ে আবার নতুন
স্বাধীনতা সুখ আসে।
বাংলার মাটি বীরদের ঘাঁটি
ঈমানী শক্তি ভরা,
সকলেই চাই শান্তি সুখের
নতুন বসুন্ধরা।
যে সকল প্রাণ ঝরে গেলো শেষে
ছাত্র শিশু ও নারী,
আল্লাহ মালিক লিখে দাও তুমি
জান্নাতি ঘর বাড়ি।
পালিয়ে গেছেন দিল্লি
মো হা ম্ম দ জা লা ল উ দ্দি ন
মুগ্ধ , সাঈদ, ছাত্র শিশুরা

 তপ্ত বুলেট বুকে,

বারুদ মাখানো আগুন দিয়েছে
 স্বৈরাচারীর মুখে।
হাতের মুঠোয় বাঁশের লাঠিতে
 প্রহরী রয়েছে কাড়া,
স্বাধীনতা ফের রাখবে ধরিয়া
জাগ্রত মন পাড়া
দেখবেনা আর আয়নাবাজির
স্বৈরাচারের ঘর,
স্বাধীনতা আসে রক্তের স্রোতে
জাগ্রত অন্তর।
বেড়িয়ে আসছে রাঘব বোয়াল
গভীর থলের বিল্লি,
স্বৈরশাসক ঐরাবতিরা
পালিয়ে গেছেন দিল্লি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরো লেখা

📲 Kaj Kori App – মোবাইল দিয়ে ইনকাম করুন!

অ্যাপে রয়েছে Rocket Game, Ludo, Spin & Earn, আর্টিকেল রিডিং, রেফার বোনাস — ১০০ পয়েন্ট = ১ টাকা

📥 Kaj Kori App ডাউনলোড করুন